বাস্তবের গল্প
বাস্তবের গল্প
…………………….. ইসমাইল হোসেন
ছুঁয়ে গেছে স্বপ্ন ছুঁয়ে যাচ্ছে মন
লিখছি যেন গল্পের বাস্তব জীবন
লেখাটা আঁকাবাঁকা কথা গুলো ঘোরে ডাকা
একাকী ছুঁয়ে মন একাই চলা বাস্তব জীবন
সত্য বলবো এবার করেছি পণ
কথার মাঝে কথা লুকিয়ে আছে
নানা রঙের মানুষ ঘিরে
রঙ্গিন মুখে রঙিন কথা
মুখে তাদের বড় কথা
মুখের বুলিতে জ্ঞানিজ্ঞানি ভাব
নজর দিলে পাবে নৌতিকতার অভাব
রসের বুলিতে খই ফুটনো কথা
মুখোশের উপরে সমাজসেবী ভাব
নজর দিলে খুঁজে পাবে হন্য স্বভাব
স্বার্থের আহরণে কথার মারপ্যাঁচ
মিষ্টি কথার হাট
কথার পিঠে কথা দিয়ে
নতুন ঘটনার প্রভাত ,
ঘটনাতে লুকোচুরি ঘটনাতে সমাজসেবী ভাব
ঘটনা ঘটনাতে তার অন্ধভাব
ছুঁয়ে গেছে স্বপ্ন ছুঁয়ে যাচ্ছে মন
লিখছি যেন গল্পের বাস্তব জীবন
মানুষ কাঁদে কেন?
মানুষ কাঁদে কেন?
══════════
পৃথিবীতে শুধুই মানুষই কাঁদে না পশু-পাখিরাও কাঁদে। তবে হ্যাঁ, মানুষের কান্নার মাঝেও একটা শ্রেষ্ঠত্ব আছে। মানুষই কেবল দুঃখ পেলে কাঁদে। কিন্তু পশু-পাখিরা দুঃখ পেলে কাঁদে না।
আমাদের চোখ দিয়ে যখন নোনা পানি ঝরে, তাকেই আমরা কান্না বলি। এই কান্না বা চোখের পানি তিন প্রকার।
প্রথমত, ব্যাসাল টিয়ার্স
═════════════
এটা আমাদের চোখের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রতিবার পলক ফেলার সময় চোখের পাতার পেছন থেকে আমাদের চোখের ওপর এই পানি ছিটিয়ে দেয়া হয়। এটা আমাদের চোখকে ধুলো-বালি থেকে রক্ষা করে। অনেকটা তেল বা লুব্রিকেন্টের মতো।
দ্বিতীয়ত, রিফ্লেক্স টিয়ার্স
══════════════
একটানা কোনো কিছুর দিকে, যেমন ক্লাশে অনেকক্ষণ ধরে খুব মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে আর এটাকেই বলে রিফ্লেক্স টিয়ার্স। আমাদের চোখ কোনো কিছু দেখতে দেখতে যখন খুব বিরক্ত বা একঘেঁয়ে হয়ে যায়, তখন এই পানি বের হয়ে চোখকে রিফ্রেশ করে দেয়। অনেকটা কম্পিউটার রিফ্রেশ করার মতো।
ততীয়ত, ইমোশনাল টিয়ার্স
════════════════
যেই চোখের পানি নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা। আর এটা কিন্তু শুধুই মানুষের সম্পত্তি। পশু-পাখিরা এই কান্না একদমই কাঁদতে পারে না। তবে অনেক বিজ্ঞানী বলেন, কিছু কিছু প্রাণীও এই কান্না কাঁদে। চার্লস ডারউইন একটা বইয়ে লিখে গেছেন ভারতের হাতিরাও নাকি ওদের কেউ মারা গেলে কান্নাকাটি করে। দূর-দূরান্ত থেকে মরা হাতির মৃতদেহ দেখতে যায়। কিন্তু সব বিজ্ঞানীরা এখনো এ ব্যাপারে একমত হতে পারেন নি। অনেকেরই মত, ওসব মনের দুঃখে কান্না নয়। ওটা ওদের চোখ পরিস্কার করার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অর্থাৎ ব্যাসাল টিয়ার্স।
এখন কথা হলো, ইমোশনাল টিয়ার্সে কেন হয়?
══════════════════════════
মূলত ইমোশনাল টিয়ার্সে খুব বেশি পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ নামের এক ধরনের লবণ আর প্রোল্যাক্টিন নামের এক ধরনের প্রোটিন থাকে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই দুটো পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে গেলে মানুষ অনেকটা আরাম বোধ করে। ধরুন আপনার মন খুব খারাপ, আপনি কাঁদলেন, তখন ম্যাঙ্গানিজ ও প্রোল্যাক্টিন বের হয়ে গেল। আপনাকে অনেক হালকা করে দিলো। আপনার মন খারাপও কিছুটা কমে গেলো। অর্থাৎ কাঁদলে মন হালকা হয় আর মন হালকা করাই কান্নার প্রধান কারণ।
তবে কাঁদলে মন হালকা হওয়ার এরচেয়েও বড়ো কারণটা মানসিক। আপনি যখন কাঁদবেন, তখন আপনার আশেপাশে যারা থাকবেন, তারা সবাই-ই বুঝবে কোনো কারণে আপনার মন ভালো নেই। হয় আপনার মন খারাপ, অথবা আপনি ভীষণ হতাশ, কিংবা আপনি চরম পরিমাণে দ্বিধান্বিত। আর এই যে আপনার আশেপাশের মানুষকে আপনি আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারলেন, এটাও আপনার মনকে অনেকখানি হালকা করে দিবে।
তাহলে আজকে একটা জিনিস জেনে নিলেন। কান্না অপরাধ নয়। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। মানুষের মন খারাপ হলে বা ব্যথা পেলে কাঁদবে, এটাই স্বাভাবিক। আর এটা মনে আছে নিশ্চয়ই, মন খারাপ হলে বা ব্যথা পেলে কাঁদতে পারার গুণ কিন্তু একমাত্র মানুষেরই আছে। অন্য প্রাণীরা এই কান্না কাঁদতে পারে না।
চোখের জলে আবেগের প্রকাশ কে কান্না বলে। প্রতিশব্দ:ক্রন্দন ( উইকিপিডিয়া)
আমরা কেন কাঁদি? কেন চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরে আর তখনি মনে হয় কি যেন নেই বা বুকের ভিতরটা কেমন যেন হালকা হয়ে যায়( আসলে মস্তিস্কে)
তবে কান্নার প্রধান কারণটা মানসিক।
মানুষের কান্নার বা চোখের পানি তিন ধরনের-
১.ব্যাসাল টিয়ার্স ( চোখকে ধুলাবালি থেকে রক্ষা করে এই কান্না)
২.রিফ্রেক্স টির্য়াস ( চোখের রিফ্রেসের জন্য এমন কান্না)
৩.ইমোশনাল টির্য়াস ( দু:খ কষ্ট অনুভব করার কান্না)
এখন কথা হলো, আমরা কেন কাঁদি? বিজ্ঞানীদের মতে ইমোশনাল টির্য়াসে খুব বেশি থাকে ম্যাঙ্গানিজ নামের এক ধরনের লবণ আর প্রোল্যাক্টিন নামের এক ধরনের প্রোটিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই দু’টো পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে গেলে মানুষ অনেকটা আরাম বোধ করে। তাই আমাদের খুব মন খারাপ থাকলে, ফলে কাঁদলে, আর তার সঙ্গে এগুলো বের হয়ে আমাদের অনেক হালকা করে দিলো। মন খারাপও কিছুটা কমে যাবে।
তাই বলা হয় কাঁদিলে দু:খ মুন্দিভূত হয়- কাঁদলে মন হালকা হয়? এটাই তার কারণ।
চোখের জলের স্বাদ নোনতা। তাই হয়তো অনেকেয় সমুদ্রের পানির সাথে তুলনা করে থাকেন। কিন্তু কারণ হল এই সব রাসায়নিক একসাথে করলে নোনতা ছাড়া অন্য কোন স্বাদ পাওয়া যাবে না।
যখন আমরা কাঁদি, তখন আমাদের তোমার আশেপাশে যারা থাকবে, সবাই-ই বুঝবে কোনো কারণে আমাদের মন ভালো নেই। হয় মন খারাপ, অথবা ভীষণ হতাশ, কিংবা চরম পরিমাণে দ্বিধান্বিত। আর যদি পাশের মানুষটিকে মনের কষ্টা বা অনুভুতিটি শেয়ার করা যায়, এটাও মনকে অনেকখানি হালকা করে দিবে। খেয়াল করে দেখুন তো-আপনার মন খুব খারাপ হলো আর কোনো প্রিয় মানুষের কাছে কাঁদলেন আপনি। কেমন মনটা হালকা হয়ে যায়?
আর একটি বিষয় হল,শারীরিক ব্যাথা- যার কারণে আমরা কাঁদি। এটাও সেই মানসিক বা ইমোশন থেকেয় তৈরি হয়। তবে মানুষের জন্য সুখবর যে, লজ্জা পেলে বা অনেক অবেগ বা মন খারাপ থাকলে প্রাণী জগতের একমাত্র তারাই কাদঁতে পারে!
ইমোশনাল কান্না শারীরিক ব্যখার বাইরেও কিছু বলার থাকে। বেশির বাগ সময় আমরা আবেগিয় কান্না কাঁদি- অন্যের সাথে সখ্যতা বাড়ানোর জন্য বা যোগাযোগ রাখার জন্য। যেমন-প্রিয় মানুষটি যখন কাদেঁ তখন আমাদের চোখেও পানি চলে আসে কারণ তার সাথে যোগাযোগ ভাল আমাদের।
বাচ্চারা কাঁদে,কারণ কথা শিখার আগে এটাই ভাব প্রকাশের মাধ্যম তাদের কাছে। মানুষের হতাশা,ভালবাসা,ভাললাগা,দু:খ,ভয় আর প্রয়োজনের তাগিদে কান্না চলে আসে।
যারা ভালবাসার মায়ায় জড়িয়ে আছেন প্রিয় জনের সাথে-তাদের কান্নাটা হয়ে যায় বন্ধন শক্ত রাখা আর নিজেদের দু:খটাকে প্রকাশের সহজ মাধ্যমের জন্য। আর সাথীর কাছ থেকে সাপোর্ট পাবার জন্য। ভাব প্রকাশের জন্য অনেক ভাষা আছে কিন্তু কান্না সার্বজনীন ভাষা। সবাই এটা বুঝে।
সামাজিক ভাব যেমন,বিয়েতে প্রিয় মানুষগুলোকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য চোখে পানি আসে। নাটক-সিনেমাতে অনেক দু:খ্যের কিছু মনে করে শিল্পীরা চোখে পানি আনতে পারেন। যদি সত্যিকারের অভিনয় জানেন।